ম্যাক ইউরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অসম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{কাজ চলছে}} |
|||
{{Infobox martial artist |
{{Infobox martial artist |
||
| name = ম্যাক ইউরী |
| name = ম্যাক ইউরী |
১৭:০২, ২৮ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ম্যাক ইউরী | |
---|---|
জন্ম | ১৯৬৪ |
অন্য নাম | থান্ডার শিনম্যান, বজ্র মুনি (সুপার হিউম্যান) |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শৈলী | ব্যুত্থান |
পদবী | বানদো-তে ৭তম ব্ল্যাক-বেল্ট বুত্থান-এ ১০ম ব্ল্যাক বেল্ট |
পেশা | মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক |
ওয়েবসাইট | Vajramunee.org |
ম্যাক ইউরী (ভজরামুনি নামেও পরিচিত) (জন্ম ১৯৬৪) বিশ্ব রেকর্ডধারী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পৃথিবীর একজন শীর্ষস্থানীয় মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ডমাস্টার। মনঃসংযোগ প্রশিক্ষণ, ধ্যান, প্রেরণাদায়ী বক্তা এবং আত্মরক্ষা কৌশল প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ম্যাক ইউরি বিশ্বের একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের প্রশিক্ষণ, সন্ত্রাস-বিরোধী কৌশল এবং নিরাপত্তা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও তাঁর সুপরিচিতি রয়েছে। তিনি একজন লেখক ও দার্শনিক। এছাড়া তিনি ভজ্রপ্রাণ এবং ব্যুত্থান ক্রীড়াদ্বয়ের প্রতিষ্ঠাতা। ভজ্রপ্রাণ এবং ব্যুত্থান দক্ষিণ এশিয়ায় উদ্ভূত দুইটি প্রাচীণ আত্মরক্ষামূলক ক্রীড়া, যা শরীর-মনের ভারসাম্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন ঘটিয়ে থাকে। তিনি তার অতিমানবীয় সিনবোন কিকের জন্য 'থান্ডার শিনম্যান' হিসেবে জগৎব্যাপী পরিচিতি ও প্রসংসা অর্জন করেন।[১] পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্ঘাস্থি বা শিন-এর জন্যে এবং মস্তিস্কের মাধ্যমে সর্বোচ্চ মনোনিবেশ অর্জনের তিনি ৪টি বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করেছেন।
ডিসকভারি চ্যানেল ২০১৩ সালে তাকে বিশ্বের অন্যতম বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী অতিমানব (বা সুপারহিউম্যান) হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ডিসকভারি চ্যানেল নিযুক্ত পাঁচজন বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক ম্যাক ইউরীর এই অতিমানবীয় ক্ষমতা বিশ্লেষণ করে অভিহিত করেন যে তাঁর পায়ের শক্তি বিশ্বের সব মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।[২] পরবর্তিতে ওয়েন ইউনিভার্সিটি আমেরিকা গবেষণা করে বের করে যে প্রতিটি স্ট্যান্ডার্ড বেসবল ভাঙ্গতে ৭৪০ পাউন্ডস শক্তি প্রয়োজন। বৃটেনের নটিংহামের মেয়রের উপস্থিতিতে ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস রেজিস্ট্রি অ্যাডজুডিকেটর জন ইভান্স আনুষ্ঠানিক ভাবে এই কৃতি মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ডমাস্টারের হাতে বিশ্ব স্বীকৃতি সনদ হস্তান্তর করেন।[৩] তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আত্মিক উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
শৈশব ও বেড়ে উঠা
ম্যাক ইউরীর পিতার নাম শামসুল আলম এবং মায়ের নাম আমিনা আলম। শামসুল আলম ছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী। সোভিয়েত নভোচারী ইউরি গ্যাগারিনের নামানুসারে তাঁর নাম রাখা হয় ইউরি। শৈশবে এলিজাবেথ মার্বেল প্রাইমারি স্কুলের মাধ্যমে ম্যাক ইউরি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভ শুরু করেন। পঞ্চম শ্রেণী থাকা অবস্থায় তিনি তাঁর সহপাঠী ও বন্ধুদের সাথে একত্রে শারীরিক প্রশিক্ষণ বিষয়ক একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। শারীরিক প্রশিক্ষণের উপরে তিনি সেসময় একটি ছোট বই রচনা করেন, বইটি তিনি তার বন্ধুদের মাঝে বিতরণ করেন। এরপর তিনি বার্মিজ মনস্তাত্বিক প্রশিক্ষণ বান্দো এবং মিনজিং বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন। কৈশোরে তিনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি শৃঙ্খলা ও রণকৌশল বিষয়েও সম্যক জ্ঞান অর্জন করেন। নবম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় তিনি সামরিক বিজ্ঞান বিষয়ক একটি সংস্থার সাথে জড়িত হন, পরবর্তিতে তিনি নিজেই 'সেলফ ডিফেন্স সোসাইটি' বা আত্মরক্ষা বিষয়ক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংস্থায় তিনি শিক্ষার্থীদের আত্মরক্ষা, ধ্যান ও যোগশাস্ত্র বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতেন। ক্যাডেট কলেজে থাকা অবস্থায় ম্যাক ইউরী প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি দেহতত্ব, যোগশাস্ত্র, মনলসংযোগ, সামরিক প্রশিক্ষণ, ব্যায়াম বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। পরবর্তিতে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ম্যাক ইউরীকে বিশিষ্ট ক্যাডেট হিসেবে সম্মাননা দেয়।
১৭ বছর বয়সে ম্যাক ইউরী নিজেই মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেন। মার্শাল আর্টস, ধ্যান, যোগশাস্ত্র এবং ভেষজ ঔষধ সম্পর্কে জ্ঞানলাভের উদ্দেশ্যে পরবর্তিতে তিনি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।
মার্শাল আর্ট অনুশীলন
মিলিটারি সাইন্স, ফিজিক্যাল ট্রেনিং, অবস্টাকল কোর্স, আন আর্মড কমব্যাট, মিলিটারি ড্রিলস প্যারেডের মতো বিষয়সমূহে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এছাড়া ইউরি ভারতের কাঞ্চিপুরম ও চীনের শাওলিন টেম্পল সম্পর্কিত অনুসন্ধানী গবেষণার মাধ্যমে ভারতীয় মার্শাল আর্টের লুপ্তপ্রায় ইতিহাস ও ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করেন। তিনি 'ন্যাশনাল সিকিউরিটি একাডেমী' আমেরিকা থেকে কমিশন অফিসার্স কোর্স সমাপ্ত করেন। অর্জন করেন ব্রিটিশ হোম অফিস অধীনস্থ সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রিজ অথরিটি ভিআইপি প্রটেকশনের ওপর সর্বোচ্চ প্রফেশনাল ডিগ্রি। এছাড়া ফায়ার ট্রেনিং একাডেমী ইংল্যান্ড থেকে ফায়ার মার্শাল কোর্সও সম্পন্ন করেন।[৩]
পুরস্কার
ড. ইউরী বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মার্শাল আর্ট গ্র্যান্ডমাস্টারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড গ্র্যান্ডমাস্টারস কাউন্সিল, আমেরিকার সর্বোচ্চ পুরস্কার 'গ্রান্ডমাস্টার পিনাকেল অ্যাওয়ার্ড-২০০৯' লাভ করেন।[৩]
তথ্যসূত্র
- ↑ আজ বরিশালবাসীর 'ইত্যাদি, দৈনিক ইত্তেফাক। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২ ডিসেম্বর ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
- ↑ "Bangladeshi martial artist Mak Yuree on Ripley's Believe It Or Not"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৫, ২০১৫।
- ↑ ক খ গ সুপার হিউম্যান ম্যাক ইউরি, বাংলাদেশ প্রতিদিন। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ডিসেম্বর ৮, ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।