হাকিমপুর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা |
PrithoknNoman (আলোচনা | অবদান) হালনাগাদ করা হল |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{তথ্যছক বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চল |
{{তথ্যছক বাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চল |
||
|নাম = হাকিমপুর |
| নাম = হাকিমপুর |
||
|অফিসিয়াল_নাম = |
| অফিসিয়াল_নাম = |
||
|চিত্র = Well come to Hakimpur.jpg |
| চিত্র = Well come to Hakimpur.jpg |
||
|চিত্রের_আকার = |
| চিত্রের_আকার = |
||
|চিত্রের_বিবরণ = উপজেলায় প্রবেশের রাস্তায় স্বাগতম বার্তা |
| চিত্রের_বিবরণ = উপজেলায় প্রবেশের রাস্তায় স্বাগতম বার্তা |
||
|ডাকনাম = হিলি |
| ডাকনাম = হিলি |
||
|চিত্র_মানচিত্র = |
| চিত্র_মানচিত্র = |
||
|মানচিত্রের_স্তরের_অবস্থান = right |
| মানচিত্রের_স্তরের_অবস্থান = right |
||
|স্থানাঙ্ক ={{স্থানাঙ্ক|25.28|N|89.01|E|region:BD|display=inline,title}} |
| স্থানাঙ্ক = {{স্থানাঙ্ক|25.28|N|89.01|E|region:BD|display=inline,title}} |
||
|স্থানাঙ্ক_পাদটীকা = |
| স্থানাঙ্ক_পাদটীকা = |
||
|বিভাগ = রংপুর বিভাগ |
| বিভাগ = রংপুর বিভাগ |
||
|জেলা = দিনাজপুর জেলা |
| জেলা = দিনাজপুর জেলা |
||
|প্রতিষ্ঠার_শিরোনাম = |
| প্রতিষ্ঠার_শিরোনাম = |
||
|প্রতিষ্ঠার_তারিখ = |
| প্রতিষ্ঠার_তারিখ = |
||
|আসনের_ধরন = সংসদীয় |
| আসনের_ধরন = সংসদীয় |
||
|আসন = দিনাজপুর-৬ |
| আসন = দিনাজপুর-৬ |
||
|নেতার_দল = [[বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ]] |
| নেতার_দল = [[বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ]] |
||
|নেতার_শিরোনাম = |
| নেতার_শিরোনাম = |
||
|নেতার_নাম = শিবলী সাদিক |
| নেতার_নাম = শিবলী সাদিক |
||
|আয়তনের_পাদটীকা = |
| আয়তনের_পাদটীকা = |
||
|মোট_আয়তন = ৯৯.৭৯ |
| মোট_আয়তন = ৯৯.৭৯ |
||
|আয়তন_টীকা = |
| আয়তন_টীকা = |
||
|জনসংখ্যার_পাদটীকা = <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://hakimpur.dinajpur.gov.bd/node/716786 |শিরোনাম= এক নজরে উপজেলা |লেখক= বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |তারিখ= জুন ২০১৪ |ওয়েবসাইট= |প্রকাশক= গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |সংগ্রহের-তারিখ= ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> |
| জনসংখ্যার_পাদটীকা = <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://hakimpur.dinajpur.gov.bd/node/716786 |শিরোনাম= এক নজরে উপজেলা |লেখক= বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |তারিখ= জুন ২০১৪ |ওয়েবসাইট= |প্রকাশক= গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |সংগ্রহের-তারিখ= ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> |
||
|মোট_জনসংখ্যা = ৯২,৫৯৯ |
| মোট_জনসংখ্যা = ৯২,৫৯৯ |
||
|এই_অনুযায়ী_জনসংখ্যা = ২০১১ |
| এই_অনুযায়ী_জনসংখ্যা = ২০১১ |
||
|জনসংখ্যার_ক্রম = |
| জনসংখ্যার_ক্রম = |
||
|জনসংখ্যা_টীকা = |
| জনসংখ্যা_টীকা = |
||
|সাক্ষরতার_হার = ৫৪.০৭% |
| সাক্ষরতার_হার = ৫৪.০৭% |
||
|সাক্ষরতার_হার_পাদটীকা = |
| সাক্ষরতার_হার_পাদটীকা = |
||
|ডাক_কোড = ৫২৭০ |
| ডাক_কোড = ৫২৭০ |
||
|ওয়েবসাইট = http://hakimpur.dinajpur.gov.bd/ |
| ওয়েবসাইট = http://hakimpur.dinajpur.gov.bd/ |
||
|পাদটীকা = |
| পাদটীকা = |
||
}} |
}} |
||
'''হাকিমপুর উপজেলা''' বাংলাদেশের [[দিনাজপুর জেলা]]র অন্তর্গত একটি [[উপজেলা নির্বাহী অফিসার|উপজেলা]]। |
'''হাকিমপুর উপজেলা''' বাংলাদেশের [[দিনাজপুর জেলা]]র অন্তর্গত একটি [[উপজেলা নির্বাহী অফিসার|উপজেলা]]। |
||
১০১ নং লাইন: | ১০১ নং লাইন: | ||
* [[শিবলী সাদিক]] |
* [[শিবলী সাদিক]] |
||
* হারুন-উর-রশিদ হারুন |
|||
* জামিল হোসেন চলন্ত |
|||
== আরও দেখুন == |
== আরও দেখুন == |
১২:২৮, ২৯ মার্চ ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হাকিমপুর | |
---|---|
উপজেলা | |
ডাকনাম: হিলি | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°১৭′৩″ উত্তর ৮৯°০′৫৮″ পূর্ব / ২৫.২৮৪১৭° উত্তর ৮৯.০১৬১১° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | দিনাজপুর জেলা |
সংসদীয় | দিনাজপুর-৬ |
সরকার | |
আয়তন | |
• মোট | ৯৯.৭৯ বর্গকিমি (৩৮.৫৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ৯২,৫৯৯ |
• জনঘনত্ব | ৯৩০/বর্গকিমি (২,৪০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫৪.০৭% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫২৭০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ২৭ ৪৭ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
হাকিমপুর উপজেলা বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
অবস্থান
এই উপজেলার উত্তরে নবাবগঞ্জ উপজেলা ও বিরামপুর উপজেলা, দক্ষিণে পাঁচবিবি উপজেলা, পূর্বে ঘোড়াঘাট উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও বিরামপুর উপজেলা।
প্রশাসনিক এলাকা
হাকিমপুর উপজেলার ইউনিয়ন ৩টি ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।
ইতিহাস
ভারত বর্ষ বিভক্ত হবার আগেই মুর্শিদাবাদের জমিদার মিনা কুমারী তাহার জমিদার অন্তর্গত একটি অঞ্চলের নাম ছিল বালুরঘাট। মিনা কুমারী ছিলেন ধনবতী–বিশাল সম্পদশালীনী। কিন্তু সম্পদের রক্ষনাবেক্ষনের জন্য তাহার জনবল ছিল অপ্রতুল। তাই তিনি তাহার কিছু সম্পত্তি হস্তান্তর করিতে মনস্থ করিলেন। গদাধর মন্ডল তখন উঠতি ধনশালী ছিলেন। বহুদিনের বাসনা জমিদার হবেন। সুযোগও আসল দর পত্তনি হিসাবে মিনা কুমারীর নিকট হইতে তিনি ক্রয় করিলেন বালুঘাট থানার ৬টি মৌজা হাকিমপুর, ধরন্দা, মাকুরমুড়া, খোর্দ্দা-মাহসুল,বাসুদেবপুর ও আপ্তর। এসব কিছু তখন ছিল বগুড়া জেলার অধীন।
গদাঘরমন্ডল নিঃসন্তান হওয়ায় তাহার মৃত্যুর পর ভাতুস্পুত্র বেনী মাধব দাস একমাত্র উত্তরাধিকারী হিসাবে সম্পত্তির মালিক হন। বেণী মাধব দাসের কোন সন্তান না থাকায় তাহার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী কুঞ্জবালা দাস্যা জমিদারী প্রাপ্ত হন এবং তাহার মৃত্যুর পর তাহাদের একমাত্র কন্যা বিধুবালা সরকার উক্ত সম্পত্তির মালিক হন।
ভারতবর্ষ বিভক্ত হওয়ার পর জমিদারী প্রথাও উচ্ছেদ হল। আর বালুরঘাট থানাও দুই ভাগে বিভক্ত হল। দুই অংশ দুই দেশের অন্তর্ভুক্ত হল। তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভুক্ত এই অঞ্চলটি পার্শ্ববর্তী থানা নবাবগঞ্জের অন্তর্ভুক্ত হয়ে বগুড়া হতে দিনাজপুর জেলার অধীন হয়ে গেল। একে তো সীমান্ত এলাকা তার উপর থানা সদর হইতে দূর। ট্রেন ডাকাতি, গ্রামে-গঞ্জে চুরি ডাকাতি প্রভৃতি অরাজকতায় জন জীবন অতিষ্ঠ। প্রয়োজন দেখা দিল একটি পুলিশ ফাঁড়ীর তধানীন্তন পাক হিলি বাজারস্থ জনাব শফি মন্ডল সাহেবের চালকল গুদামে স্থাপিত হইল একটি পুলিশ ফাঁড়ী।
১৯৫০ সালের ২৫শে মার্চ হাকিমপুর ইতিহাসে এক স্মরনীয় ঘটনা। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এই দিনে বোয়ালদাড়, আলীহাট, খট্টামাধবপাড়া ও বিরামপুর সহ মোট ৪ টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে হাকিমপুর মৌজার নামানুসারে হাকিমপুর থানা ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ২টি ইউনিয়ন যথা হিলি-হাকিমপুর ও কাটলা সৃষ্টির মাধ্যমে এই থানায় মোট ৬টি ইউনিয়ন হয়।
১৯৬১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার জমিদার বিধুবালা সরকারের নিকট হতে তার বাসভবন সহ মোট ২৭৫ একর ৫৮৬৯.২০ টাকায় ক্রয় করেন এবং সেখানে থানার অফিস স্থানান্তরিত হয়। সৃষ্টির মুহুর্তে থানাটি মোটামুটি বড় থানা হিসাবে পরিচিতি ছিল। কিন্তু ১৯৮২ সালে এই থানার ২ টি ইউনিয়ন কাটলা ও বিরামপুর নবগঠিত থানা বিরামপুরের অন্তভুক্ত হয়। ফলে উপজেলাটি বর্তমানে ৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই উপজেলার উত্তরে নবাবগঞ্জ উপজেলা উত্তর পশ্চিমে নবগঠিত বিরামপুর উপজেলা দক্ষিণে পাঁচবিবি উপজেলা পূর্বে ঘোড়াঘাট উপজেলা এবং পশ্চিমে পশ্চিম বঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হিলি থানা।
বর্তমান হাকিমপুর উপজেলা ৬৯টি মৌজায় বিভক্ত। এই উপজেলায় বৈগ্রাম মৌজায় একটি বহু প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে। ছাতনী মৌজায় রয়েছে একটি প্রাচীন মসজিদের ধংসাবশেষ। একটি গীর্জার ধংসাবশেষ দেখা যায় লক্ষিকোল মৌজায়। অবিভক্ত ভারতে অত্র হাকিমপুর উপজেলা ধানের ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিল। এই এলাকায় ততকালে সবচেয়ে বড় আকারের ধান ভাংগানোর বয়লার মিল সহ বর্তমানে মোট ১৭টি ধান ভাঙানোর মিল আছে।
এই এলাকা বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্গত। কোথাও কোথাও উঁচু অঞ্চল এখনো দেখা যায়। অধিকাংশ লোকই কৃষিজীবী। কৃষি ক্ষেত্রে ধান উৎপাদনের উপযোগীতা সবচেয়ে বেশি। আদি অধিবাসীগণ কৃষিকেই প্রধান জীবিকা হিসাবে এখনও টিকিয়ে রেখেছেন। এই উপজেলার মধ্য দিয়া তুলশী গঙ্গা ও যমুনা নদীর শাখা প্রশাখা বহমান।
এই উপজেলাই মোট ৬ ছয় মাইল ভারত ও বাংলাদেশে মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকা।
হাকিমপুর উপজেলায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর "পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড" অবস্থিত। এই স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্যাদি আমদানি ও রপ্তানি হয়ে থাকে। এই সীমান্ত এলাকায় একটি আন্তর্জাতিক চেক পোষ্ট অবস্থিত, যার নাম হিলি চেক পোষ্ট । বছরে প্রায় ৭-৮ হাজার লোক এই পথে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়ত করে।[২]
মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
মুক্তিযুদ্ধে হাকিমপুর উপজেলা তথা হিলি গুরুত্ব অপরিসীম। হিলি সীমান্ত দিনাজপুর এবং ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রধান যোগাযোগ কেন্দ্র হওয়ায় উক্ত অঞ্চল রণকৌশল গত কারণে পাকহানাদার বাহিনীর নিকট অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় এই অঞ্চল দখল করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠে। ১৪ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখ থেকেই তারা হিলিকে দখল করার প্রচেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে ১৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বিকালে হানাদার বাহিনী হিলিতে অবস্থানরত ৩য় ইষ্টবেঙ্গলের ক্যাপ্টেন আনোয়ার হোসেন এর আলফা কোম্পানী ও ছাত্র-জনতা মুক্তিযোদ্ধার উপর ত্রি-মুখি আক্রমণ করে হানাদার বাহিনী। তাদের প্রচন্ড আক্রমণে টিকে থাকতে না পেরে ক্যাপ্টেন আনোয়ারের দল ছত্র-ভঙ্গ হয়ে ভারতের হিলির বকশীগঞ্জ আমবাগানে অবস্থান নেয়। এই যুদ্ধে ৩ ইষ্টবেঙ্গলের ৬ জন মৃত্যুবরণ করেন। এই অবস্থায় ২১ এপ্রিল ১৯৭১ তারিখে হানাদার বাহিনী হিলি দখল করে চারিদিকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। পাকিস্তানি বাহিনী ৪ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স ব্যাটালিয়ন হিলি এলাকায় কনক্রিটের ভাস্কর নির্মাণ করত: এখানে খুবই জোরালো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। হানাদার বাহিনী সেনারা প্রায় পাশ্ববর্তী এলাকার নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ ছাড়াও বাঙ্গালীদেরকে ধরে এনে এখানে নির্মল নির্যাতন করত। এক পর্যায়ে ২১ নভেম্বর ১৯৭১ তারিখে মুক্তিবাহিনী সহ যৌথবাহিনী কর্তৃক হানাদার বাহিনীর উক্ত ঘাঁটি উৎখাত করার জন্য প্রচন্ড আক্রমণ চালানো হয়। এই আক্রমণের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর গোলা বর্ষণ করেও শত্রুর শক্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রথমে ধ্বংস করতে পারেনি। বরং এই দিনে মিত্রবাহিনীর অনেক সৈন্য মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ৯ এবং ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে ভারতীয় ২০২ নং মাউন্টেন ব্রিগেডিয়ারের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অবিরাম আক্রমণ চালিয়ে বহু মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সৈনিকদের জীবনের বিনিময়ে দখলদার বাহিনীকে পরাজিত করে। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে এই হিলি অঞ্চল শত্রু মুক্ত হয়। মৃত্যুবরণকারী মুক্তিযোদ্ধা এবং মিত্রবাহিনীর সদস্যগনের আত্মত্যাগের প্রতি জাতীর শ্রদ্ধার নিদর্শণ স্বরুপ হিলি মুহাড়াপাড়ায় (বিজিবি বাসুদেবপুর ক্যাম্প সংলগ্ন) নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ সম্মুখ সমর।
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী হাকিমপুর উপজেলার জনসংখ্যা ৯২,৫৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৭,১৬২ জন এবং মহিলা ৪৫,৪৩৭ জন।
শিক্ষা
হাকিমপুর উপজেলায় হাকিমপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ ও হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ নামক ০২ টি ডিগ্রী কলেজ, বাংলাহিলি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নামে ০১ টি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাংলাহিলি পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ নামে ০১ টি বে-সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ৪৬ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ০৮টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে।
- বেসরকারি পাঠাগার - ১ টি
অর্থনীতি
হাকিমপুর উপজেলায় ২টি নদী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে ছোট যমুনা নদী এবং তুলসী গঙ্গা নদী।[৩]
এখানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর "পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড" অবস্থিত। এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
হাকিমপুর থানা থেকে দক্ষিণ পাশে পাঁচবিবি হয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা জয়পুরহাটে যোগাযোগ রয়েছে, হাকিমপুর উপজেলার পূর্ব পাশ দিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা শহর বগুড়া তে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে, হাকিমপুর উপজেলা শহর উত্তর পাশ দিয়ে বিরামপুর উপজেলা উপর দিয়ে দিনাজপুর জেলা শহর পর্যন্ত হাইওয়ে সড়ক যোগাযোগ রয়েছে তাছাড়া হাকিমপুর থানায় একটি স্থলবন্দর থাকায় হাকিমপুর উপজেলার পশ্চিম দিক দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগ রয়েছে, তাছাড়া এখানে একটি আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট রয়েছে এবং হাকিমপুরের উপর দিয়ে উত্তর-দক্ষিণ দিক বরাবর সুদীর্ঘ রেলপথ রয়েছে, যে রেলপথ দিয়ে ঢাকার সাথে দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও এর রেল যোগাযোগ রয়েছে।
হিলি ট্রাজেডি দিবস
১৩ জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে দিনাজপুরের হিলি রেলস্টেশনে একটি ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয়রা জানায়, ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারী শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে হিলি রেলস্টেশনের ১ নং লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ-পার্বতীপুরগামী ৫১১ নং লোকাল ট্রেন। কর্তব্যরত স্টেশন মাষ্টার ও পয়েন্টম্যানের দায়িত্বহীনতার কারনে ১ নং লাইনে ঢুকে পড়ে সৈয়দপুর-খুলনাগামী আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস। ভুল সংকেতের কারনে মুহুর্তেই দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে লোকাল ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ ৩ টি বগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন, স্থানীয় রেলওয়ে একতা ক্লাবের সদস্যসহ স্থানীয়রা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। বেসরকারী ভাবে নিহতের সংখ্যা শতাধিক হলেও সরকারী ভাবে ঘোষণা করা হয় ২৭ জন। পরদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হিলিতে দুর্ঘটনা পরিদর্শনে আসেন। হিলি রেলওয়ে একতা ক্লাবের উদ্যোগে দিনটিকে হিলি ট্রেন ট্রাজেডি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। দিবসটিতে সাধারণত নিহতদের স্মরনে বুকে কালো ব্যাজ ধারণ, ট্রেন দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের গায়ে ব্যানার লাগানো, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
খনিজ সম্পদ
সাম্প্রতিককালে হাকিমপুরে লৌহ খনি আবিষ্কৃত হয়েছে। হাকিমপুরের ইসবপুর গ্রামে প্রায় ছয় বছর ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরে ২০১৯ সালে এটি আবিষ্কার করা হয়। খনিতে লোহার পাশাপাশি ক্রোমিয়াম, নিকেল উপস্থিতি সম্বন্ধে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। এমনকি খনিটিতে স্বর্ণও পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দর্শনীয় স্থান
হাকিমপুর উপজেলা প্রধান দর্শনীয় স্থান হচ্ছে বাংলাদেশ ভারত জিরো পয়েন্ট গেট বা হিলি সীমান্ত শূন্যরেখা। হাকিমপুরে বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি পোর্ট অবস্থিত। শহরে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভও দর্শনীয় স্থান বলে বিবেচিত হয়।
গণমাধ্যম
- সাপ্তাহিক হিলি বার্তা
- সাপ্তাহিক লাল সবুজ
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- শিবলী সাদিক
- হারুন-উর-রশিদ হারুন
- জামিল হোসেন চলন্ত
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫।
বহিঃসংযোগ
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |