পঞ্চনিবন্ধে শপথ
সনদ শপথ (五箇条の御誓文 Gokajō no Goseimon, আরও আক্ষরিক নাম পঞ্চনিবন্ধে শপথ) ৬ এপ্রিল ১৮৬৮ সালে কিয়োতো রাজকীয় প্রাসাদে জারি করা হয়েছিল।[১][২] শপথটি সম্রাট মেইজির শাসনামলে অনুসৃত প্রধান লক্ষ্য ও পদক্ষেপের রূপরেখা তুলে ধরে, যা জাপানের আধুনিকায়নের জন্য একটি আইনি মাত্রা নির্ধারণ করে। এটি একটি নগরায়ন প্রক্রিয়াও স্থির করেছিল যাতে করে সকল শ্রেণির লোকেরা চাকরি পরিবর্তন করার স্বাধীনতা পায়, ফলে লোকেরা আরও ভালো কাজের জন্য শহরে গমন করতে শুরু করে। এটি শাসনের তুলনায় "অনুপ্রেরণা প্রদানের" জন্য পুরো মেইজি যুগে ও বিংশ শতাব্দী জুড়ে জাপানের রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারকারী ছিল এবং এটিকে আধুনিক জাপানের প্রথম সংবিধান হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।[৩]
ধারাসমূহ
[সম্পাদনা]নাম থেকেই বোঝা যায় শপথের পাঠ্য মোট পাঁচটি ধারা নিয়ে গঠিত:
এই শপথের মাধ্যমে, আমরা আমাদের লক্ষ্য হিসেবে জাতীয় সম্পদকে বিস্তৃত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠা এবং একটি সংবিধান ও আইন প্রণয়ন করেছি।
- সুচিন্তিত সমাবেশগুলো ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সকল বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
- সকল শ্রেণি, উচ্চ হোক বা নিম্ন, সবলে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হবে।
- আমজনতা বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের চেয়ে কম নয়, সবাইকে তাঁদের নিজস্ব জীবিকা নির্বাহ করার অনুমতি প্রদান করা হবে যাতে কোনো অসন্তোষ না হয়।
- অতীতের কুপ্রথার অবসান করা হবে এবং সবকিছু প্রকৃতির ন্যায্য আইনের উপর ভিত্তি করে।
- রাজকীয় শাসনের ভিত্তি মজবুত করার জন্য সারা বিশ্বে জ্ঞান অন্বেষণ করা হবে।[৪]
উৎস ও পরবর্তী প্রভাব
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Keene, p. 137. Other translations are seen in the literature, such as Five-Article Oath or Charter Oath in Five Articles.
- ↑ http://www.meijijingu.or.jp/about/3-3.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১০-০১-২৫ তারিখে 慶応4年(明治元年)3月14日、明治天皇は京都御所紫宸殿に公卿・諸侯以下百官を集め、維新の基本方針を天地の神々にお誓いになりました。The Charter Oath was promulgated on the fourteenth day of the third month by the old calendar, equivalent to April 6.
- ↑ Keene, p. 340, notes that one might "describe the Oath in Five Articles as a constitution for all ages."
- ↑ McLaren, p. 8, quoted in De Bary et al., p. 672.
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- De Bary, William; Tiedemann, Arthur, সম্পাদকগণ (২০০৫) [1958]। Sources of Japanese Tradition। II: 1600 to 2000 (2nd সংস্করণ)। New York: Columbia। আইএসবিএন 0-231-12984-X।
- Dower, John W. (২০০০)। Embracing Defeat: Japan in the Wake of World War II। New York: Norton। আইএসবিএন 0-393-04686-9।
- Jansen, Marius B. (2000). The Making of Modern Japan. Cambridge: Harvard University Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬৭৪০০৩৩৪-৭; OCLC 44090600
- Keene, Donald (2002). Emperor of Japan: Meiji and His World, 1852-1912. New York: Columbia University Press. আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৩১-১২৩৪০-২; OCLC 46731178
- McLaren, W. W. (১৯৭৯)। Japanese Government Documents। Bethesda, MD: University Publications of America। আইএসবিএন 0-313-26912-2।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Akamatsu, Paul (১৯৭২)। Meiji 1868: Revolution and Counter-Revolution in Japan (জাপানি ভাষায়)। Miriam Kochan (trans.)। New York: Harper & Row। আইএসবিএন 0-06-010044-3।
- Akita, George (১৯৬৭)। Foundations of Constitutional Government in Modern Japan 1868-1900। Cambridge: Harvard। আইএসবিএন 0-674-31250-3।
- Beasley, William G. (১৯৯৫)। The Rise of Modern Japan: Political, Economic and Social Change Since 1850। New York: St. Martin's Press। আইএসবিএন 0-312-23373-6।
- Breen, John, "The Imperial Oath of April 1868: ritual, power and politics in Restoration Japan," Monumenta Nipponica, 51, 4 (1996)
- Jansen, Marius B.; Gilbert Rozman, সম্পাদকগণ (১৯৮৬)। Japan in Transition: From Tokugawa to Meiji। Princeton: Princeton। আইএসবিএন 0-691-10245-7।
- Murphey, Rhoades (১৯৯৭)। East Asia: A New History। New York: Addison Wesley Longman। আইএসবিএন 0-321-42141-8।