বড় শিব মন্দির, পুঠিয়া
বড় শিব মন্দির | |
---|---|
বিকল্প নাম | ভুবনেশ্বর মন্দির |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | পঞ্চরত্ন,বাংলার মন্দির স্থাপত্য |
অবস্থান | পুঠিয়া |
ঠিকানা | পুঠিয়া উপজেলা, রাজশাহী জেলা |
শহর | রাজশাহী |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°২১′৫০″ উত্তর ৮৮°৫০′১৩″ পূর্ব / ২৪.৩৬৩৯৭০° উত্তর ৮৮.৮৩৭০৫৬° পূর্ব |
নামকরণ | ভুবনেশ্বর মন্দির |
নির্মাণ শুরু | ১৮২৩ |
সম্পূর্ণ | ১৮৩০ |
নির্মাণব্যয় | ৩ লক্ষ টাকা (তৎকালীন) |
স্বত্বাধিকারী | বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর |
উচ্চতা | ৩৫.০৫ মিটার |
কারিগরী বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুড়কি |
তলার সংখ্যা | ১ |
তলার আয়তন | ৩৯২.৪৫ বর্গ মিটার |
নকশা ও নির্মাণ | |
প্রধান ঠিকাদার | রাণী ভুবনময়ী দেবী |
পরিচিতি | দর্শনীয় স্থাপত্য, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান |
অন্যান্য তথ্য | |
কক্ষসংখ্যা | একটি মাত্র গর্ভগৃহ |
বড় শিব মন্দির পুঠিয়া রাজবাড়ির ছয়টি মন্দিরের একটি। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]গোবিন্দ মন্দির পুঠিয়া রাজপরিবারের তত্ত্বাবধানে রাণী ভুবনময়ী দেবী কর্তৃক নির্মিত হয় ১৮২৩ খ্রিষ্টাব্দে। মন্দির নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে। ভুবনময়ী দেবীর নামানুসারে একে ভুবনেশ্বর মন্দিরও বলা হয়ে থাকে। বর্তমান যুগেও এই মন্দিরে নিয়মিত পুজো হয়।
অবস্থান
[সম্পাদনা]রাজশাহী শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিখ্যাত পুঠিয়া রাজবাড়ি দিকে এগোতে প্রথমেই পড়ে এই মন্দির। মন্দিরটির ডানপাশে রথ মন্দির এবং পেছনে গোপাল চৌকি নামক সুবিশাল দিঘি রয়েছে।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]মন্দিরটি উঁচু মঞ্চে নির্মিত, বর্গাকার এ মন্দিরের প্রতি বাহু ১৯.৮১ মিটার দীর্ঘ, ভূমি থেকে উচ্চতা ৩৫.০৫ মিটার। মন্দিরের চারপাশে টানা বারান্দা ও মধ্যে একটি গর্ভগৃহ রয়েছে। পঞ্চরত্ন স্থাপত্য পরিকল্পনায় এ মন্দিরের চারকোণে চারটি ও কেন্দ্রে একটি করে মোট পাঁচটি চূড়া বা রত্ন আছে। চূড়াগুলোর চারপাশে সন্নিবেশিত আছে বিভিন্ন আকারের মৌচাকৃতির অসংখ্য ছোটো ছোটো চূড়া। পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে একটি করে প্রবেশ পথ এবং প্রতিটি বারান্দায় ৫টি করে খিলান বা প্রবেশ পথ রয়েছে। পেছনের দিঘিতে নামার জন্য আলাদা একটি দ্বিমুখী সিঁড়ি রয়েছে। চুন সুড়কির মসলার সাহায্যে ইট দ্বারা নির্মিত এই মন্দিরের দেওয়ালে চুন-সুড়কির আস্তরণ বিদ্যমান। গর্ভগৃহে প্রবেশের জন্য রয়েছে চারপাশে চারটি প্রবেশপথ। সামনের প্রবেশপথের ওপর প্রভু শিবের ছবি ঝোলানো থাকে এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে এখানে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ। মন্দিরের দেওয়ালের বাইরে পলেস্তারায় বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী খোদাই করা ছিলো, তবে বর্তমানে তাদের অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
সামনের দিক
-
শিব লিঙ্গ, বড় শিব মন্দির
-
মন্দিরের বারান্দা
-
মন্দিরের বাইরে দেয়াল
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা
- রত্ন শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি)
- পুঠিয়া মন্দির চত্বর
- রথ মন্দির
- গোবিন্দ মন্দির