বিষয়বস্তুতে চলুন

অঁদ্রে-মারি অম্পেয়্যার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আঁদ্রে-মারি অম্পেয়্যার
André-Marie Ampere
আঁদ্রে-মারি অম্পেয়্যার (১৭৭৫-১৮৩৬)
জন্ম২০শে জানুয়ারি, ১৭৭৫
মৃত্যু১০ই জুন, ১৮৩৬
জাতীয়তা ফরাসি
পরিচিতির কারণঅম্পেয়্যারের বিধি
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞানী
প্রতিষ্ঠানসমূহবুর্গ-অঁ-ব্রেস
একোল পোলিতেকনিক
অঁদ্রে-মারি অম্পেয়্যার এর কবর, প্যারিস, ফ্রান্স

অঁদ্রে-মারি অম্পেয়্যার[] (এম্পিয়ার বা অ্যাম্পিয়ার নামেও পরিচিত) (ফরাসি: André-Marie Ampère) (জানুয়ারি ২০, ১৭৭৫জুন ১০, ১৮৩৬) একজন ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানীতাড়িৎ-চৌম্বকত্বে অবদানের জন্য তিনি বিখ্যাত। তড়িৎ প্রবাহের আন্তর্জাতিক একক অ্যাম্পিয়ারের নামকরণ তার সম্মানে করা হয়েছে।

তড়িচ্চুম্বকত্বে অবদান

[সম্পাদনা]

অম্পেয়্যার পর্যবেক্ষণ করেছিলেন, দুটি বিদ্যুৎবাহী তারকে যদি সমান্তরালে পাশাপাশি রাখা হয় তবে তার দুটি পরস্পরকে আর্কষণ করে। তবে তারদুটিতে একই দিকে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করতে হবে। আর যদি দু তারে বিদ্যুৎ প্রবাহ যদি পরস্পরের বিপরীত দিকে হয়, তাহলে তারদুটি পরস্পরকে বিকর্ষণ করবে। তিনি একটা পরীক্ষাও করেছিলেন এ বিষয়ে। একটি তারকে স্পিংয়ের মতো করে পেঁচিয়েছিলেন। ফলে তারে একটি কুণ্ডলি তৈরি হয়েছিল। যাকে বলে কয়েল। কুণ্ডলির একটি প্যাঁচ আরেকটি পাঁচের সাথে সমান্তরালে অবস্থান করে। এরপর সেই কুণ্ডলির ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলেন অ্যাম্পিয়ার। যেহেতু একই দিকে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে, তাই প্রতিটা প্যাঁচেরও বিদ্যুৎ প্রবাহের দিক এক। আবার প্যাঁচগুলো পরস্পরের সমান্তরালে রয়েছে, সুতরাং এদের ভেতরে প্রবল আকর্ষণ বল কাজে করে। একটি প্যাঁচ আরেকটি প্যাঁচের আকর্ষণ শক্তি বাড়িয়ে দেয়। পুরো কুণ্ডলিটি তাই একটা শক্তিশালি চুম্বকের মতো কাজ করে। কুণ্ডলির একটা দিক চুম্বকের উত্তর মেরুর মতো এবং আরেকটা দিক চুম্বকের দক্ষিণ মেরুর মতো কাজ করে।

বৈদ্যুতিক মোটর এই নীতির উপর নির্ভর করে ঘোরে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. এই ফরাসি ব্যক্তিনামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় ফরাসি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ-এ ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]