প্রবন্ধ
![]() | এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|

সাহিত্যে বর্ণনামূলক গদ্যকে প্রবন্ধ বলা হয়। প্রবন্ধ সাহিত্যের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এর সমার্থক শব্দগুলো হলো - সংগ্রহ, রচনা, সন্দর্ভ, পূর্বাপর সঙ্গতি,, কৌশল। প্রবন্ধের বিষয়বস্তু শৈল্পিক, কাল্পনিক, জীবনমুখী, ঐতিহাসিক কিংবা আত্মজীবনীমূলক হয়ে থাকে। এটি সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখা হয় এবং লেখকের চিন্তা, বিশ্লেষণ, ও যুক্তিকে ফুটিয়ে তোলে। যিনি প্রবন্ধ রচনা করেন তাকে প্রবন্ধকার বলা হয়। প্রবন্ধে মূলত কোনো বিষয়কে তুলে ধরে তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রবন্ধ সাহিত্য, দর্শন, ইতিহাস, রাজনীতি, সমাজবিদ্যা, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখা হতে পারে।
প্রবন্ধ’ শব্দের প্রকৃত অর্থ প্রকৃষ্ট রূপ। ‘প্রকৃষ্ট বন্ধন’ বলতে বিষয়বস্তু ও চিন্তার ধারাবাহিক বন্ধনকে বোজায় । নাতিদীর্ঘ, সুবিন্যস্ত গদ্য রচনাকে প্রবন্ধ বলে । প্রবন্ধ রচনার বিষয়, ভাব, ভাষা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ । এক কথায় কল্পনা শক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে লেখক যে নাতিদীর্ঘ সাহিত্য রূপ সৃষ্টি করেন তাই প্রবন্ধ ।
প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]প্রবন্ধের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে[১], যেমন—
- গদ্যধর্মী রচনা: এটি সাধারণত গদ্যে রচিত হয় এবং বিষয়বস্তুকে সুস্পষ্টভাবে উপস্থাপন করে।
- সংক্ষিপ্ততা ও সুবিন্যস্ততা: প্রবন্ধ সাধারণত নাতিদীর্ঘ হয় এবং একটি নির্দিষ্ট কাঠামো অনুসরণ করে লেখা হয়।
- যুক্তিসম্মত ও বিশ্লেষণধর্মী: এতে কোনো বিষয় নিয়ে যুক্তি, বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যার মাধ্যমে পাঠকের কাছে বোধগম্য করে তোলা হয়।
- বিষয়বস্তুর গঠনমূলক উপস্থাপন: লেখকের চিন্তাধারা সুস্পষ্ট, সুগঠিত ও ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হয়।
- উপস্থাপনার স্বাধীনতা: লেখক তার ব্যক্তিগত মতামত ও অনুভূতি প্রকাশের স্বাধীনতা পান।
- শৈল্পিক ও সাহিত্যিক মান: অনেক প্রবন্ধ সাহিত্যের উচ্চমান সম্পন্ন হয়, যা পাঠককে নান্দনিক আনন্দ দেয়।
শ্রেণিবিভাগ
[সম্পাদনা]প্রবন্ধ প্রধানত ২ ভাগে বিভক্তঃ
- তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ
তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ: এই ধরনের প্রবন্ধে লেখকের ব্যক্তিগত অনুভূতির চেয়ে বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত একাডেমিক, গবেষণামূলক, বা তথ্যভিত্তিক প্রবন্ধগুলো এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। যেমন—
- বিবৃতিমূলক
- ব্যাখ্যামূলক
- তথ্যমূলক
- নীতিকথামূলক
- মন্ময় বা ব্যক্তিনিষ্ঠ
মন্ময় বা ব্যক্তিনিষ্ঠ প্রবন্ধ: এখানে লেখকের ব্যক্তিগত মতামত, অনুভূতি ও কল্পনার প্রকাশ বেশি থাকে। এটি সাধারণত সাহিত্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা হয়। যেমন—
বর্ণনামূলক বিতর্কমূলক চিন্তামূলক
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
প্রবন্ধের উপাদান
[সম্পাদনা]একটি ভালো প্রবন্ধ লেখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অনুসরণ করতে হয়—
শিরোনাম: প্রবন্ধের মূল ভাব প্রকাশ করে এমন আকর্ষণীয় শিরোনাম থাকা জরুরি।
ভূমিকা: প্রবন্ধের শুরুতে বিষয় সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা প্রদান করা হয়।
মূল আলোচনা: বিষয়ের গভীরে গিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্লেষণ করা হয়।
উপসংহার: আলোচনার সারসংক্ষেপ ও চূড়ান্ত মতামত প্রদান করা হয়।
প্রবন্ধের গুরুত্ব
[সম্পাদনা]প্রবন্ধের গুরুত্ব বহুমুখী। এটি ব্যক্তিগত, সামাজিক, শিক্ষাগত, ও বৌদ্ধিক উৎকর্ষ সাধনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সাহিত্য মাধ্যম। এটি—
- মানুষের বিশ্লেষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- জ্ঞানচর্চার একটি শক্তিশালী মাধ্যম
- বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা ও নতুন ধারণা তৈরির ক্ষেত্র তৈরি করে
- লেখকের চিন্তাভাবনাকে প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপন করতে শেখায়
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধকার
[সম্পাদনা]বিশ্বসাহিত্য ও বাংলাসাহিত্যে অনেক খ্যাতনামা প্রবন্ধকার রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য নাম—
বাংলা সাহিত্য: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দীন, হুমায়ুন আজাদ। বিশ্বসাহিত্য: ফ্রান্সিস বেকন, জর্জ অরওয়েল, রাল্ফ ওয়াল্ডো এমারসন, বার্ট্রান্ড রাসেল, দারিও ফো।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]১। English & Bengali Online Dictionary & Grammar [ Published - 2024 ]