বিষয়বস্তুতে চলুন

রানে জেলওয়েগার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রানে জেলওয়েগার
Renée Zellweger
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৬০তম বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জেলওয়েগার
জন্ম
রানে ক্যাথলিন জেলওয়েগার[]

(1969-04-25) এপ্রিল ২৫, ১৯৬৯ (বয়স ৫৫)
শিক্ষাটেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাঅভিনেত্রী, প্রযোজক
কর্মজীবন১৯৯২-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীকেনি চেসনি
(বি. ২০০৫; annulled ২০০৫)

রানে ক্যাথলিন জেলওয়েগার (/rəˈn ˈzɛlwɛɡər/; জন্ম: ২৫শে এপ্রিল ১৯৬৯)[] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও প্রযোজক। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে দুটি একাডেমি পুরস্কার, দুটি বাফটা পুরস্কার, চারটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, ও চারটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার। ২০০৭ সালে তিনি হলিউডের অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী ছিলেন এবং ২০০৯ সালে তিনি হাস্টি পুডিং বর্ষসেরা নারীর খ্যাতি লাভ করেন।[]

চলচ্চিত্রে জেলওয়েগারের প্রথম প্রধান চরিত্রে কাজ ছিল ভীতিপ্রদ ধারাবাহিক টেক্সাস চেইনশ ম্যাসাকার: দ্য নেক্সট জেনারেশন (১৯৯৪)। পরের বছর এম্পায়ার রেকর্ডস (১৯৯৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি সমাদৃত হন। তিনি পরবর্তীতে ক্রীড়া নাট্যধর্মী জেরি ম্যাগুইয়ার (১৯৯৬) চলচ্চিত্র দিয়ে সকলের দৃষ্টি কাড়েন এবং হাস্যরসাত্মক নার্স বেটি (২০০০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তার প্রথম শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। ২০০১ সালে প্রণয়ধর্মী হাস্যরসাত্মক ব্রিজেট জোন্স্‌স ডায়েরি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারবাফটা পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করনে। ২০০২ সালে সঙ্গীতধর্মী শিকাগো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতেন।

জেলওয়েগার ২০০৩ সালের মহাকাব্যিক যুদ্ধভিত্তিক নাট্যধর্মী কোল্ড মাউন্টেন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, বাফটা পুরস্কারস্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি ব্রিজেট জোন্স: দি এজ অব রিজন (২০০৪) চলচ্চিত্রে পুনরায় নাম ভূমিকায়, সিনড্রেলা ম্যান চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে, এবং জীবনীধর্মী মিস পটার (২০০৬) চলচ্চিত্রে ইংরেজ লেখক বিয়াট্রিক্স পটার ভূমিকায় অভিনয় করেন।[] তিনি কয়েকটি সীমিত পরিসরে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন, যার মধ্যে রয়েছে অ্যাপালুসা (২০০৮), মাই ওয়ান অ্যান্ড অনলি (২০০৯), কেস থার্টি নাইনমাই ওন লাভ সং (২০১০)। ২০১৬ সালে জেলওয়েগার পুনরায় ব্রিজেট জোন্স চলচ্চিত্রের তৃতীয় পর্ব ব্রিজেট জোন্স্‌স বেবি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি অভিনেত্রী জুডি গারল্যান্ডের জীবনীনির্ভর জুডি চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য সমাদৃত হন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন|

প্রারম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

রানে ক্যাথলিন জেলওয়েগার ১৯৬৯ সালের ২৫শে এপ্রিল টেক্সাসের ক্যাটি শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[][] তার পিতা এমিল এরিক সুইস শহর জেলওয়েগার সেন্ট গ্যালেনের বাসিন্দা ছিলেন এবং আপেনজেল পরিবারের বংশধর ছিলেন।[] তিনি একজন মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল প্রকৌশলী, যিনি তেল পরিশোধন ব্যবসায়ের সাথে জড়িত ছিলেন। তার মাতা কিয়েলফ্রিড আইরিন আন্দ্রেয়াসেন নরওয়েজীয় ছিলেন।[][] তিনি ভাদসোর নিকটবর্তী এক্কেরয়ে ও কার্কেনেসে বেড়ে ওঠেন। তিনি পেশাগত জীবনে একজন সেবিকা ও ধাত্রী, যিনি একটি নরওয়েজীয় পরিবারের গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজের উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে চলে যান। জেলওয়েগার নিজেকে "অলস ক্যাথলিক ও এপিসকোপালিয়ান" হিসেবে বর্ণনা করেন।

পুরস্কার ও মনোনয়ন

[সম্পাদনা]

অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে দুটি একাডেমি পুরস্কার, দুটি বাফটা পুরস্কার, চারটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, চারটি ক্রিটিকস চয়েস চলচ্চিত্র পুরস্কার, চারটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার, একটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কার, ও একটি ব্রিটিশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট চলচ্চিত্র পুরস্কার। এছাড়াও তিনি লন্ডন চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি, ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ, জাতীয় চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি, নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র সমালোচক সমিতি, ও সান্তা বারবারা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কৃত হয়েছেন। মেরিল স্ট্রিপ, জেসিকা ল্যাংকেট ব্লানচেটের পর তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভের পর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার লাভ করা চতুর্থ অভিনেত্রী। তিনি ইংরিদ বারিমান, ম্যাগি স্মিথ, হেলেন হেইস, স্ট্রিপ, ল্যাং ও ব্লানচেটের পর অভিনয়ের এই দুটি বিভাগেই পুরস্কৃত হওয়া সপ্তম অভিনেত্রী।[১০]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Time: Almanac 2008 (ইংরেজি ভাষায়)। টাইম হোম এন্টারটেইনমেন্ট ইনকর্পোরেটেড। ২০০৭। আইএসবিএন 9781933821214। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯ 
  2. "Renee Zellweger"বায়োগ্রাফি (ইংরেজি ভাষায়)। এঅ্যান্ডই টেলিভিশন নেটওয়ার্কস। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯ 
  3. "Hasty Pudding Institute of 1770" (ইংরেজি ভাষায়)। Hasty Pudding Institute Organizations। ১৭ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৮ 
  4. "Profile - Renée Zellweger and Ewan McGregor"দ্য সিয়াটল টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ জানুয়ারি ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৮ 
  5. https://www.familysearch.org/ark:/61903/1:1:VDR9-CXB
  6. ডেনিস, অ্যালিশিয়া (১২ মার্চ ২০১১)। "Renée Zellweger: I Never Planned to Be Famous"পিপল (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯ 
  7. "Starbiographie: Renée Zellweger hat's geschafft"ফিল্ম রিপোর্টার (জার্মান ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯ 
  8. "Renee Zellweger Biography (1969-)"ফিল্ম রেফারেন্স (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯ 
  9. উইলিয়ামস, জো (১৩ ডিসেম্বর ২০০৩)। "Interview: Zoe Williams meets Renée Zellweger"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯ 
  10. "Will Cate Blanchett join Meryl Streep and Jessica Lange in Oscars upgrade lounge?"। গোল্ড ডার্বি। সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]