২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ গ্রুপ এফ
২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের গ্রুপ এফ আর্জেন্টিনা, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ইরান, এবং নাইজেরিয়াকে নিয়ে গঠিত। এই গ্রুপের খেলা ১৫ জুন থেকে শুরু হয়ে ২৫ জুন পর্যন্ত চলবে।
দলসমূহ
[সম্পাদনা]ড্র স্থান | দল | বাছাইয়ের পদ্ধতি |
বাছাইয়ের তারিখ |
চূড়ান্তপর্বে উত্তীর্ণ |
সর্বশেষ উপস্থিতি |
সর্বোচ্চ সাফল্য |
ফিফা র্যাঙ্কিং | |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
অক্টোবর ২০১৩[দ্রষ্টব্য ১] | জুন ২০১৪ | |||||||
এফ১ (পাত্রানুসারে) | আর্জেন্টিনা | কনমেবোল রাউন্ড রবিন বিজয়ী | ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১৬তম | ২০১০ | বিজয়ী (১৯৭৮, ১৯৮৬) | ৩ | ৫ |
এফ২ | বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | উয়েফা গ্রুপ জি বিজয়ী | ১৫ অক্টোবর ২০১৩ | ১ম | — | — | ১৬ | ২১ |
এফ৩ | ইরান | এএফসি ৪র্থ রাউন্ড গ্রুপ এ বিজয়ী | ১৮ জুন ২০১৩ | ৪র্থ | ২০০৬ | গ্রুপ পর্ব (১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০৬) | ৪৯ | ৪৩ |
এফ৪ | নাইজেরিয়া | সিএএফ ৩য় রাউন্ড বিজয়ী | ১৬ নভেম্বর ২০১৩ | ৫ম | ২০১০ | ১৬ দলের রাউন্ড (১৯৯৪, ১৯৯৮) | ৩৩ | ৪৪ |
- টীকা
- ↑ অক্টোবর ২০১৩ র্যাঙ্কিং অনুসারে গ্রুপ পর্বের চূড়ান্ত ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
অবস্থান
[সম্পাদনা]ব্যাখ্যা |
---|
গ্রুপ বিজয়ী ও গ্রুপ রানার আপ ১৬ দলের রাউন্ডে অগ্রসর হবে |
দল
|
খেলা |
জয় |
ড্র |
পরাজয় |
স্বগো |
বিগো |
গোপা |
পয়েন্ট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
আর্জেন্টিনা | ৩ | ৩ | ০ | ০ | ৬ | ৩ | +৩ | ৯ |
নাইজেরিয়া | ৩ | ১ | ১ | ১ | ৩ | ৩ | ০ | ৪ |
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ৩ | ১ | ০ | ২ | ৪ | ৪ | ০ | ৩ |
ইরান | ৩ | ০ | ১ | ২ | ১ | ৪ | −৩ | ১ |
খেলাসমূহ
[সম্পাদনা]আর্জেন্টিনা বনাম বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
[সম্পাদনা]দুইটি দল এর আগে দুইবার প্রীতি খেলায় মুখোমুখি হয়েছে, অতি সম্প্রতি ২০১৩ সালে।[১]
এই খেলার মাধ্যমে বিশ্বকাপে অভিষেক হয় বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যেই তারা পিছিয়ে পড়ে। লিওনেল মেসির ফ্রি কিক থেকে নেওয়া শটে বল মার্কোস রোহোর মাথায় সামান্য স্পর্শ করে সিয়াদ কোলাশিনাচের পায়ে লেগে গোলপোস্টে ধুকে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে, মেসি পেনাল্টি অঞ্চলের বাহিরে থেকে নেওয়া শটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। খেলার পাঁচ মিনিট বাঁকি থাকতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা একটি গোল শোধ করে। সেনাদ লুলিচের পাস থেকে দেশের পক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম গোলটি করেন বদলি হিসেবে নামা ভেদাদ ইবিশেভিচ।[২]
কোলাশিনাচের আত্মঘাতী গোলটি খেলার দুই মিনিট নবম সেকেন্ডে ঘটে, যা বিশ্বকাপের ইতিহাসের দ্রুততম আত্মঘাতী গোল হিসেবে নতুন রেকর্ড গরে। আগের রেকর্ডটি ছিল প্যারাগুয়ের কার্লোস হেমারার (দুই মিনিট ৪৬ সেকেন্ড), যিনি ২০০৬ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় গোলটি করেছিলেন।[৩][৪]
আর্জেন্টিনা | ২–১ | বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা |
---|---|---|
কোলাশিনাচ ৩' (আ.গো.) মেসি ৬৫' |
প্রতিবেদন | ইবিশেভিচ ৮৫' |
আর্জেন্টিনা
|
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
|
|
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
ইরান বনাম নাইজেরিয়া
[সম্পাদনা]এর আগে ১৯৯৮ সালে, দুইটি দল একবার প্রীতি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল।[৬]
গোলবিহীন এই খেলায়, ৩৪ মিনিটে একটি সুযোগ পায় ইরান, কিন্তু রেজা ঘুচানেজাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থতে পরিণত করেন নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক ভিনসেন্ট এনিয়েমা। দ্বিতীয়ার্ধে, ইনজুরি সময়ে নাইজেরিয়া একটি সুযোগ পায়, কিন্তু শোলে অ্যামেওবির সেই সুযোগ নষ্ট হওয়ার ফলে গোল শূন্য সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি।[৭]
এটি ছিল এই টুর্নামেন্টের প্রথম ড্র, এর আগের ১২ ম্যাচ কোন না কোন দল জয় পেয়েছিল। ১৯৩০ সালের পর এটি ছিল কোন একক টুর্নামেন্টে ড্রয়ের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষা, যেখানে টুর্নামেন্টের আর কোন ম্যাচ ড্র হয়নি।[৮]
ইরান | ০–০ | নাইজেরিয়া |
---|---|---|
প্রতিবেদন |
ইরান
|
নাইজেরিয়া
|
|
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
আর্জেন্টিনা বনাম ইরান
[সম্পাদনা]এর আগে ১৯৭০ সালে দল দুইটি একটি প্রীতি খেলায় মুখমুখি হয়েছিল।[৯]
আক্রমণ প্রধান আর্জেন্টিনা দলের বিপক্ষে ভালোই সূচনা করেছিল ইরানের রক্ষণাত্মক দল। দ্বিতীয়ার্ধে তারা আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের কিছু দুর্বল অংশ দিয়ে কয়েকটি অসফল আক্রমণও করে। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ইরানের রেজা ঘুচান্নেজহাদ একটি লম্বা পাস থেকে আক্রমণের সূচনা করেন যা সামান্যর জন্য ব্যর্থ হয়।[১০] ইরানি মিডফিল্ডার আশকান দেজাগাহর একটি হেডার ফিরিয়ে দেন সার্হিও রোমেরো।[১১]
ইরানের রক্ষণাত্মক দল তাদের দ্বিতীয় খেলাকেও গোলশূন্য ড্র করাতে প্রায় সফল হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি সময়ে খেলার একমাত্র গোলটি করেন লিওনেল মেসি। রাইট উইঙ্গে এজেকিয়েল লাভেজ্জির পাস থেকে বল পেয়ে তিনি কিছুটা ভেতরের দিকে চলে যান এবং বাম পায়ের বাঁকানো শট থেকে গোল করেন।[১২] এই জয়ের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা নক-আউট পর্বে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে।[১৩]
আর্জেন্টিনা | ১–০ | ইরান |
---|---|---|
মেসি ৯০+১' | প্রতিবেদন |
আর্জেন্টিনা
|
ইরান
|
|
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
নাইজেরিয়া বনাম বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
[সম্পাদনা]দল দুইটি এর আগে কখনও মুখোমুখি হয়নি।[১৪]
খেলার ২১তম মিনিটে বসনিয়ান ফরোয়ার্ড এদিন জেকোর একটি গোল অফসাইড হিসেবে বাতিল করা হয়। যদিও পরবর্তীকালে রিপ্লেতে দেখা যায় যে তা অফসাইড ছিলনা। সাত মিনিট পরেই নাইজেরিয়ার পিটার অডেমউইঞ্জি গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। দ্বিতীয়ার্ধে, জেকো তার দলকে সমতায় ফেরানোর একটি ভালো সুযোগ পান, কিন্তু তার শট ফিরিয়ে দেন নাইজেরিয়ান গোলরক্ষক ভিনসেন্ট এনিমা। এই খেলায় পরাজয়ের মাধ্যমে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়া নিশ্চিত হয়ে যায়।[১৫]
নাইজেরিয়া
|
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
|
|
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
নাইজেরিয়া বনাম আর্জেন্টিনা
[সম্পাদনা]দল দুইটি এর আগে ছয়টি খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল। যার মধ্যে তিনবার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে। এর সবগুলোই জিতেছে আর্জেন্টিনা। (১৯৯৪: ২–১; ২০০২: ১–০; ২০১০: ১–০).[১৬] ২০১০ সালের খেলায় নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক ভিনসেন্ট এনেইমা আর্জেন্টিনাকে ব্যবধান বাড়াতে এবং লিওনেল মেসিকে গোলহীন রাখতে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখেন।[১৭][১৮][১৯]
নাইজেরিয়া | ২-৩ | আর্জেন্টিনা |
---|---|---|
মুসা ৪', ৪৭' | প্রতিবেদন | মেসি ৩', ৪৫+১' রোহো ৫০' |
নাইজেরিয়া
|
আর্জেন্টিনা
|
|
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা বনাম ইরান
[সম্পাদনা]বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা | ৩–১ | ইরান |
---|---|---|
জেকো ২৩' পিয়ানিচ ৫৯' ভ্রশায়েভিচ ৮৩' |
প্রতিবেদন | ঘুচান্নেজহাদ ৮২' |
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
|
ইরান
|
|
|
ম্যাচসেরা:
সহকারী রেফারিগণ:
|
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "2014 FIFA World Cup – Statistical Kit" (পিডিএফ)। FIFA.com। পৃষ্ঠা 18। ২৯ জুন ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "Argentina 2 Bosnia and Herzegovina 1"। বিবিসি স্পোর্ট। ১৫ জুন ২০১৪।
- ↑ "World Cup Fact Files"। দ্য সান (নাইজেরিয়া)। ১৭ জুন ২০১৪।
- ↑ "Kolašinac faz história ao marcar o gol contra mais rápido de uma Copa" (পর্তুগিজ ভাষায়)। Lancenet!। ১৫ জুন ২০১৪। ১৯ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৪।
- ↑ "Referee designations for matches 9-11" (পিডিএফ)। fifa.com। ২০১৪-০৬-১৩। ২০১৪-০৬-২৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১৬।
- ↑ "2014 FIFA World Cup – Statistical Kit" (পিডিএফ)। FIFA.com। পৃষ্ঠা ১৯। ২৯ জুন ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "Iran 0 Nigeria 0"। বিবিসি স্পোর্ট। ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "World Cup - Bore draw does nothing for Iran or Nigeria"। Yahoo! Sport। ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "2014 FIFA World Cup – Statistical Kit" (পিডিএফ)। ফিফা। পৃষ্ঠা ৩৪। ২৯ জুন ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ Ronay, Barney (২১ জুন ২০১৪)। "Argentina 1 Iran 0"। দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৪।
- ↑ "Should Iran have had a penalty for Pablo Zabaleta's foul on Ashkan Dejagah in the box?"। মেট্রো।
- ↑ "Argentina 1 Iran 0"। theguardian.com।
- ↑ "Argentina 1 Iran 0"। বিবিসি স্পোর্ট। ২১ জুন ২০১৪।
- ↑ "2014 FIFA World Cup – Statistical Kit" (পিডিএফ)। ফিফা। পৃষ্ঠা ৩৫। ২৯ জুন ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ "Nigeria 1 Bosnia and Herzegovina 0"। বিবিসি স্পোর্ট। ২১ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৪।
- ↑ "2014 FIFA World Cup – Statistical Kit" (পিডিএফ)। ফিফা। পৃষ্ঠা ৪৬। ২৯ জুন ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৪।
- ↑ http://www.fifa.com/tournaments/archive/worldcup/southafrica2010/matches/round=249722/match=300061460/summary.html
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৩ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৪।
- ↑ http://www.startribune.com/sports/264412851.html#54E1zB6MvC0jmHzC.97[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ গ্রুপ এফ ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে, FIFA.com