বিষয়বস্তুতে চলুন

জুন অ্যালিসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মুদ্রণযোগ্য সংস্করণটি আর সমর্থিত নয় এবং এতে রেন্ডারিং ত্রুটি থাকতে পারে। দয়া করে আপনার ব্রাউজারের বুকমার্কগুলি হালনাগাদ করুন এবং এর পরিবর্তে দয়া করে ব্রাউজারের মুদ্রণ করার ফাংশনটি ব্যবহার করুন।
জুন অ্যালিসন
June Allyson
১৯৪৫ সালের মার্চে অ্যালিসন
জন্ম
এলিনর গেইসমান

(১৯১৭-১০-০৭)৭ অক্টোবর ১৯১৭
মৃত্যু৮ জুলাই ২০০৬(2006-07-08) (বয়স ৮৮)
ওজাই, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশাঅভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী, গায়িকা
কর্মজীবন১৯৩৬-২০০১
দাম্পত্য সঙ্গীডিক পাওয়েল
(বি. ১৯৪৫–১৯৫৩)

আলফ্রেড গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
(বি. ১৯৬৩; বিচ্ছেদ. ১৯৬৫)

আলফ্রেড গ্লেন ম্যাক্সওয়েল
(বি. ১৯৬৬; বিচ্ছেদ. ১৯৭০)

ডেভিড অ্যাশরো
(বি. ১৯৭৬; মৃ. ২০০৬)
সন্তান
ওয়েবসাইটjuneallyson.com

জুন অ্যালিসন (ইংরেজি: June Allyson, জন্ম: এলিনর গেইসমান, ৭ অক্টোবর ১৯১৭ - ৮ জুলাই ২০০৬)[] ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী ও গায়িকা। তিনি ১৯৩৭ সালে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে নৃত্যশিল্পী হিসেবে এবং ১৯৩৮ সালে ব্রডওয়ে মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৪৩ সালে মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং পরের বছর টু গার্লস অ্যান্ড আ সেইলর চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে অভিনেতা ভ্যান জনসনের সাথে পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর "পাশের বাড়ির মেয়েটি" হিসেবে তার ভাবমূর্তি শক্ত অবস্থান লাভ করে। ১৯৫১ সালে তিনি টু ইয়ং টু কিস চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত তিনি সিবিএস চ্যানেলে প্রচারিত দ্য ডুপন্ট শো উইথ জুন অ্যালিসন অমনিবাস ধারাবাহিক সঞ্চালনা করতেন।

প্রারম্ভিক জীবন

অ্যালিসন ১৯১৭ সালের ৭ই অক্টোবর নিউ ইয়র্ক সিটির দ্য ব্রংক্সে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম এলিনর গেইসমান এবং ডাকনাম "এলা"।[] তার মাতা ক্লারা প্রভোস্ট এবং পিতা রবার্ট গেইসমান। তার ভাই হেনরি তার থেকে দুই বছরের বড়। তার দাদা হ্যারি গেইসমান এবং দাদী আনা হাফনার জার্মানি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হয়েছিলেন; যদিও অ্যালিসন দাবী করেন তার নামের শেষাংশ মূলত "ভান গেইসমান" থেকে এসেছে এবং তার পূর্বপুরুষগণ ওলন্দাজ ছিলেন।[] স্টুডিও জীবনীগুলোতে তার নাম "জান অ্যালিসন" হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে, যিনি ফরাসি-ইংরেজ পিতামাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার মৃত্যুর পর তার কন্যা বলেন অ্যালিসন "ফরাসি মাতা ও ওলন্দাজ পিতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন, তার নাম ছিল এলিনর গেইসমান।"

কর্মজীবন

অ্যালিসন গায়ক লি সুলিভান, হাস্যরসাত্মক নৃত্যশিল্পী হেরমান টিমবের্গ জুনিয়র ও প্যাট রুনি জুনিয়র ও হাস্যরসাত্মক তারকা ড্যানি কের বিপরীতে কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। চলচ্চিত্রগুলো ছিল সুইং ফর সেল (১৯৩৭), পিক্সিল্যাটেড (১৯৩৭), আপস অ্যান্ড ডাউনস (১৯৩৭), ডাইম এ ড্যান্স (১৯৩৮), ডেটস অ্যান্ড নাটস (১৯৩৮) এবং সিং ফর সুইটি (১৯৩৮)।[]

তিনি ১৯৩৮ সালে ব্রডওয়ে মঞ্চে সিং আউট দ্য নিউজ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। তার নৃত্যশৈলী ও সাঙ্গীতিক প্রতিভার জন্য তিনি বেটি হাটনের অধীনে অভিনয়ের পাঠ গ্রহণের সুযোগ পান। এ সময়ে হাটন হামে আক্রান্ত হলে তিনি পানামা হ্যাটি নাটকের পাঁচটি মঞ্চায়নে অভিনয় করেন।[] ব্রডওয়ে পরিচালক জর্জ অ্যাবট এক রাতে তার অভিনয় দেখেছিলেন এবং অ্যালিসনকে তার নির্দেশিত সঙ্গীতধর্মী বেস্ট ফুট ফরওয়ার্ড (১৯৪১) নাটকে একটি প্রধান চরিত্রে কাজের প্রস্তাব দেন।[][]

ব্রডওয়ের সঙ্গীতধর্মী নাটকে কাজের পর তিনি এই নাটকের চলচ্চিত্ররূপে (১৯৪৩) কাজের জন্য নির্বাচিত হন,[] এবং মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি হলিউডে পৌঁছানোর পর কাজটি শুরু হয়নি, তাই এমজিএম তাকে গার্ল ক্রেজি (১৯৪৩) চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ দেয়। বেস্ট ফুট ফরওয়ার্ড চলচ্চিত্রের প্রধান তারকা লুসিল বলের সাথে ছোট চরিত্রে অভিনয় করে ইতিবাচক পর্যালোচনা লাভ করলেও তিনি "বাদ পড়া তালিকা"য় চলে যান।[]

তিনি পরের বছর টু গার্লস অ্যান্ড আ সেইলর চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তার সাফল্যের সূচনা ঘটে, এবং অভিনেতা ভ্যান জনসনের "পাশের বাড়ির ছেলেটি" ভাবমূর্তির বিপরীতে "পাশের বাড়ির মেয়েটি" হিসেবে তার ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে।[] ১৯৪০-এর দশকে মাঝামাঝি সময়ে তিনি ও জনসন আরও চারটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[][১০]

তিনি ডিক পাওয়েলের বিপরীতে দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, সেগুলো হল দ্য রিফর্মার অ্যান্ড দ্য রেডহেড (১৯৫০) ও রাইট ক্রস (১৯৫০)। ১৯৫১ সালে তিনি পুনরায় জনসনের বিপরীতে টু ইয়ং টু কিস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই কাজের জন্য তিনি সেরা সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৫৯ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত তিনি সিবিএস চ্যানেলে প্রচারিত দ্য ডুপন্ট শো উইথ জুন অ্যালিসন অমনিবাস ধারাবাহিক সঞ্চালনা করতেন।[১১]

তথ্যসূত্র

  1. হারমেৎজ, আলজিন (১১ জুলাই ২০০৬)। "June Allyson, Adoring Wife in MGM Films, Is Dead at 88"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. বার্গেন, রোনাল্ড (১২ জুলাই ২০০৬)। "Obituary: June Allyson"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  3. "June Allyson Discusses Her Career"সিএনএন (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ জুলাই ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  4. প্যারিস ও পিটস ২০০৩, পৃ. ৩।
  5. বেসিঞ্জার ২০০৭, পৃ. ৪৮২।
  6. হার্শহর্ন ১৯৯১, পৃ. ২২৪।
  7. অ্যালিসন ও লেইটন ১৯৮২, পৃ. ২২–২৩।
  8. ডেভিস ২০০১, পৃ. ৩৪।
  9. প্যারিস ও পিটস ২০০৩, পৃ. ৪।
  10. শ্যালার্ট, এডউইন (৭ নভেম্বর ১৯৪৮)। "June Allyson's Happy Dreams Coming True: Better Roles Now June Allyson's"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস
  11. স্মিথ, সেসিল (২১ আগস্ট ১৯৬০)। "June Allyson: Subdeb Sex: June Allyson Runs Own Show as Star and Emcee"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। পৃ. A3।

বহিঃসংযোগ