অশেষ প্রসাদ মিত্র
অশেষ প্রসাদ মিত্র | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭ | (বয়স ৮০)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
পরিচিতির কারণ | রেডিও এবং স্পেস ফিজিক্স |
পুরস্কার | পদ্মভূষণ, (১৯৮৭) |
অশেষ প্রসাদ মিত্র এফএনএ, এফএএসসি, এফআরএস (২১ ফেব্রুয়ারি ১৯২৭ - ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭) একজন পদার্থবিদ, যিনি ভারতের দিল্লিতে জাতীয় পদার্থবিদ্যার পরীক্ষাগারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের (সিএসআইআর) মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি মূলত পরিবেশ বিজ্ঞানে তার অবদানের জন্য পরিচিত।[১]
জীবন
[সম্পাদনা]অশেষ প্রসাদ মিত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বঙ্গবাসী কলেজে পড়াশোনা করেছেন।
তিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় শারীরিক গবেষণাগার (এনপিএল) এর পরিচালক এবং ১৯৮৬ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিলের (সিএসআইআর) মহাপরিচালক ছিলেন।[২]
২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[৩]
গবেষণা
[সম্পাদনা]রেডিও এবং স্পেস ফিজিক্স ছিল তাঁর বিশেষত্বের ক্ষেত্র। তিনি গ্রুপ ভিত্তিক এবং মহাকাশ কৌশলগুলির মাধ্যমে পৃথিবীর কাছাকাছি-মহাকাশ পরিবেশের ক্ষেত্রে বড় কাজ করেছেন। তিনি উচ্চতর বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন করার জন্য মহাজাগতিক রেডিও শব্দে কাজ করেছেন যার ফলে আয়নোস্ফিয়ার, সৌর পদার্থবিজ্ঞান এবং মহাজাগতিক রশ্মিতে একাধিক আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে।
সম্মাননা ও পুরস্কার
[সম্পাদনা]- ১৯৬৮ সালে ভৌত বিজ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার প্রাপ্ত;
- বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির বিদেশী ফেলো;[৪]
- ১৯৮৭ সালে পদ্মভূষণ পুরস্কার প্রাপ্ত;[৫]
- ১৯৮৮ সালে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির ফেলো;[৬]
- ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ রেডিও সায়েন্সেসের (ইউআরএসআই) সভাপতি, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৭ সাল;
- আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ কমিটির সদস্য, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৮ সাল;
- ১৯৬১ সালে ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো;
- ১৯৭৪ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো;
- ১৯৮৮ সালে থুড ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্সেসের ফেলো;
- জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতি, ১৯৯২ থেকে ১৯৯৩ সাল;
- ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ রেডিও সায়েন্সেসের (ইউআরএসআই) অবৈতনিক সভাপতি, ২০০২ সাল;
- ১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সালে জওহর লাল নেহেরু ফেলোশিপ;
- ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে শান্তি স্বরূপ ভটনাগর ফেলোশিপ;
- ১৯৮২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক সি.ভি. রমন পুরস্কার প্রাপ্ত;
- ১৯৮৭ সালে শারীরিক বিজ্ঞানের জন্য ওম প্রকাশ ভাসিন পুরস্কার প্রাপ্ত;
- ১৯৮২ সালে শারীরিক বিজ্ঞানের জন্য এফআইসিসিআই পুরস্কার প্রাপ্ত;
- ১৯৯১ সালে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ সায়েন্স কর্তৃক মেঘনাদ সাহা সুবর্ণ জয়ন্তী পুরস্কার প্রাপ্ত;
- ১৯৯২ সালে মোদী বিজ্ঞান পুরস্কার প্রাপ্ত;
- ২০০২ সালে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ভাসুক পুরস্কার প্রাপ্ত;
- ১৯৯৪ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক মেঘনাদ সাহা পদক প্রাপ্ত;
- ১৯৯৫ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেস সংস্থা কর্তৃক এসকে মিত্র শতবর্ষী পদক প্রাপ্ত;
- মণিপুর, কলকাতা, যাদবপুর, বর্ধমান উত্তর বাঙলা, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি ডক্টর অব সাইয়েন্স প্রদান করা হয়।[১]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]অশেষ প্রসাদ মিত্র ১৯৫৬ সালের ১২ আগস্টে বিয়ে করেন, তার স্ত্রীর নাম সুনন্দা। পারিবারিক জীবনে তিনি দুটি কন্যা সন্তানের জনক।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "ASHESH PROSAD MITRA (21 February 1927 - 3 September 2007)" (পিডিএফ)। ৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "About CSIR"। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Prof. A. P. Mitra passes away"। ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "List of Fellows of Bangladesh Academy of Sciences"। ২১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Archived copy" (পিডিএফ)। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১০-০৪।
- ↑ "List of Fellows of the Royal Society 1660 – 2007" (পিডিএফ)। Royal Society। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৬।
- Mitra, A.N (নভেম্বর ২০০৭)। "Ashesh Prosad Mitra (1927–2007)" (পিডিএফ): 1314–1315। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-১০।